প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

image-not-found

বিসমিল্লাহিরাহমানীর রাহীম
বাতাইছড়ি দাখিল মাদরাসা ,বরুড়া ,কুমিল্লা।

মহান আল্লাহ তাআলা ও তার প্রিয় রাসূল (সা:) সঠিক আনুগত্য করার জন্য কুরআন ও সুন্নার ইলম বা জ্ঞান অর্জন করা প্রয়োজন । ইলম বা জ্ঞান অর্জন করা প্রতিটি মুসলিম নর নারীর জন্য ফরজ। ইলম বা জ্ঞান বিতরণের জন্য রাসূলে কারীম( সা:) প্রথমে যে বিদ্যাপীঠ প্রতিষ্ঠিত করেছেন তার নাম দারূল আরকাম। এখানেই হযরত সাহাবায়ে কেরামদের তালিম তারবিয়াতের কাজ হত। পরবর্তীতে রাসূল (সা:) মসজিদে নববীতে ও তালিমের কাজ জারি করেছেন যা আজ ও বিদ্যমান আছে। ইলম দুই ধরণের যথা: ইলমে দ্বীন ও ইলমে দুনিয়া । ইলমে দ্বীন হচ্ছে কুরআন সুন্নার জ্ঞান এবং তার সাথে সংশ্লিষ্ট ইলম যেমন: ইলমে ফীকহ, ইলমে অসুল, ইলমে মানতীক, ইলমে বালাগাত ইত্যাদি। অপর দিকে ইলমে দুনিয়া যাকে জাগতিক জ্ঞান বলে যাহা দুনিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট যেমন ডাক্তারিবিদ্যা ,ইন্জিনিয়ারিং বিদ্যা ,গানিতিক বিদ্যা ইত্যাদি । ইলমে দ্বীনের গুরুত্ব অনুধাবন করে আজ থেকে প্রায় ১১৩ বছর পূর্বে এলাকার নাম করা ব্যাক্তিবর্গ ময়নামতি ও লালমাই পাহাড়ের পাদদেশে পাখি ডাকা ছায়ায় ডাকা এক নৈসর্গিক পরিবেশে ০১/০১/১৯১১ ইং সনে বাতাইছড়ি দাখিল মাদরাসা নামে এই প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করেন । অতপর ০১/০১/১৯৫৬ ইং সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ওল্ড স্কীম জুনিয়র মাদরাসা নামে প্রথম স্বীকৃতি লাভ করে এবং ০১/১২/১৯৮৪ ইং তারিখে এমপিও ভুক্ত হয়। এই মাদরাসাটি অত্র এলাকার ঐতিহ্যবাহী একটি পুরাতন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান । এই মাদারাসাকে কেন্দ্র করে এখানে দেশের খ্যাতনামা পীর মাশায়েখ আউলিয়া কেরামদের আগমন ঘটে। বিশেষ করে ভারতের জৈনপুর দরবার শরীফের পীর সাহেবগণ বহুকাল থেকে যাতায়াত করেন এবং দ্বীনের প্রচার ও প্রসার ঘটান। এছাড়া এই মাদরাসায় লেখাপড়া করে অসংখ্য ছাত্র আজ দেশের বিভিন্ন স্তরে আছেন বিশেষ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে , হাই স্কুলে ও মাদরাসায় কর্মরত ছিলেন ও বর্তমানে আছে । বাতাইছড়ি দাখিল মাদরাসার ৩/৪ কিমি মধ্যে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীড কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় , ময়নামতি যাদুঘর এবং শালবন বিহার অবস্থিত। বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই ভালো। উপজেলা সদর থেকে মাত্র ৭ কি: মি পূর্বে মাদরাসাটি অবস্থিত । বর্তমানে এই মাদরাসায় প্রায় ৬০০ জন ছাত্র-ছাত্রী ও ১৯ জন শিক্ষক কর্মচারী রয়েছে। মাদরাসার নির্বাচিত নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি ,এলাকাবাসী , অভিভাবকবৃন্দ মাদরাসার উন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতা করে আসছেন । আমি আশা করি এই মাদরাসাটি আগামী প্রজন্মের জ্ঞান বিতরণে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

সভাপতির বাণী

image-not-found

মানব জাতির সূচনা লগ্ন থেকে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ প্রতিনিয়ত জ্ঞান ও কৌশল আয়ত্ব করে চলছে। আর শত সহস্র বছরের সঞ্চিত ও অর্জিত জ্ঞান শেখানো হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। যুগের প্রয়োজনে মানবের কল্যাণে সমাজ হিতৈষী ব্যক্তিরা কখনো কখনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।

অধ্যক্ষের বাণী

image-not-found

অধ্যক্ষের বাণী